ভূত নিয়ে গুজব -1
বটগাছে ভুত:
আমরা জানি,সালোকসংশ্লেষণ সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে হয়ে থাকে। তবে রাতের বেলা সূর্যের আলো থাকে না।যার দরুন সেসময় সালোকসংশ্লেষণ হয় না এবং অক্সিজেন (উদ্ভিদ কর্তৃক)নতুনভাবে তৈরি হয় না। তবে শ্বসন(অক্সিজেন গ্রহণ প্রক্রিয়া) দিনরাত্রি ২৪ ঘন্টাই চলতে থাকে। ফলে কোন ব্যক্তি বড় কোন গাছের নিচে ঘুমালে, তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেনে, একটি বড় ভাগ বসায় ওই বড় উদ্ভিদটি।ফলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাবে ব্যক্তির Hypoxemia (which occurs in the lack of oxygen) হতে পারে। Hypoxemia' র লক্ষণ হিসাবে, Medical Science, 'মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট,কাশির পাশাপাশি যুক্তি দিয়ে বিচার করার ক্ষমতা কমে যাওয়া কে উল্লেখ করেছে। এসব কারণে কেউ কেউ রাতের বেলা বড় কোন গাছের নিচে ঘুমালে, ভূত দেখেছেন বলে দাবি করতে পারে।
বোবায় ধরা:
ঘুমের মধ্যে অনেক কি শোনা যায়, 'ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরছে, ভূত দেখছি, ভূত আমার গলা টিপে ধরেছিল...' এমন সব কথা বলতে। তবে এটা 'স্লিপ প্যারালাইসিস'নামে এক ধরনের ডিজঅর্ডারের কারণে হয়ে থাকে।
Sleep paralysis হলো এমন একটা অনুভূতি যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় নিজেকে জাগ্রত ভাবে, তবে নিজের শরীর নাড়াচাড়া করতে পারেনা। ঘুমের একটি পর্যায় REM(rapid eye movement) এর সমস্যার কারণে এটি হয়ে থাকে। এই অবস্থায় মানুষ নিজের চোখ নাড়াচাড়া করতে পারলেও দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কে মস্তিষ্ক সংকেত পাঠায় না। যার ফলে ব্যক্তির মনে হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তি (ভূত) তার উপর ভর করেছে। Sleep paralysis এ বিভিন্ন রকম হ্যালুসিনেশান হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না ,প্রকৃতপক্ষে এগুলো ঘটে না। ওই ডিজঅর্ডারের কারণে ব্যক্তিবিশেষ এরকমটা দেখে থাকেন। অনিদ্রা, ঘুমের অনিয়ম, অতিরিক্ত চিন্তা ইত্যাদি কারণে এটি হতে পারে। এটি মূলত প্রাণঘাতী নয়। তবে victim এর মনে হতে পারে, যে এতে তার প্রাণ চলে যাবে। এই ডিসঅর্ডার একটানা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে। এটি সাধারনত কিশোর বয়সে হয়ে থাকে।
Credit: Ishmam Zaman and Synapse Science Community