অমরত্ব ও ভয়-১

 অমরত্ব 


অমরত্ব (ছোটখাটো লেখা)


General Description-1





অনেক মানুষের প্রশ্ন থাকে-মানুষ কি অমর হতে পারবে?আজকে ছোটখাটো পরিসরে সেটা বলার চেষ্টা করবো।প্রথমে অমরত্বের ডেফিনিশনটা ক্লিয়ার করি।অমরত্ব মানে ন্যাচারাল ডেথ বা স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া।মানে,বার্ধক্যজনিত কারণে(রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া) মৃত্যু না হওয়া। তুমি যদি একটা প্রাণীকে পড়িয়ে ছাই করে ফেলো-সেটা মরে যাবে।এটা কিন্তু অমরত্বের ডেফিনিশনের মধ্যে পড়ল না।অমরত্ব মানে ন্যাচারালি মৃত্যু না হওয়া,বাহ্যিক ফ্যাক্টরের (আগুন,দুর্যোগ) কারণে মৃত্যু হলে হোক।এখন প্রথম কথা হচ্ছে-অমর প্রাণী প্রকৃতিতে আছে কিনা?এবং উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ।টুরিটপ্সিস নামক এক ধরনের জেলিফিশের স্বাভাবিক মৃত্যু নেই।মানে,এইটা অমর।আবার,অনেক প্রাণীর Organ Regeneration Power থাকে।যেমনঃহাত,পা,লেজ কেটে ফেললে আবার তা গজাতে পারে।এটা হলো অমরত্বের ন্যাচারাল এক্সিস্টেন্স।এরপরের কথা হচ্ছে-কৃত্তিমভাবে অমরত্ব পসিবল কিনা? আরেকবার বলি-অমরত্ব মানে বার্ধক্যজনিত কারণে না মরা।তার মানে কোনো প্রাণীকে(ধরে নেই মানুষ) অমর করতে হলে,তার বয়স বাড়তে দেওয়া যাবে না।এখন শর্টে বলি-মানুষ কেন বৃদ্ধ হয়?ক্রোমোজমের প্রান্তে টুপির মতো টেলোমিয়ার নামক একটা নিউক্লিওটাইড সিকোয়েন্স থাকে।মানবদেহে TTAGGG। এটা DNA রেপ্লিকেশানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।দেহ কোষের মিউটেশনও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।এখন প্রতিবার কোষ বিভাজনের পর এই টেলোমিয়ারগুলো ছোট হয়ে যায়।দিন যাওয়ার সাথে সাথে একটা সময় পরে এগুলো ক্রিটিকালি ছোট হয়ে যায়।তখন কোষগুলো বিভাজিত হওয়ার ক্ষমতাও প্রায় হারিয়ে যায়।এগুলো মারা যায়।এই প্রক্রিয়াকে বলে Apoptosis এবং কোষের এই ধরনের মৃত্যুকে বলে Programmed Cell Death.মানুষের দেহে একসময় কোষগুলো মরতে থাকে।অনেক কোষের টটিপটেন্সি বা প্লুরিপটেন্সি বা ইউনিপটেন্সি হারিয়ে যেতে থাকে।আবার Telomere shortening বা DNA damage এর কারণে অনেক কোষ সেনেসেন্ট সেল বা জম্বি সেলে পরিণত হয়। এগুলো নিজেরা মরে না।কিন্তু নানা ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল,প্রোটিন ক্ষরণ করে আশেপাশের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।এতে নানা ধরনের মারাত্মক রোগ যেমনঃDiabetes, Kidbey Failure।এছাড়াও,নানা ধরনের রেডিয়েশান,পরিবেশ দূষণ,বাজে খাবার-দাবার,অলসতা,অতিরিক্ত পরিশ্রম এসব তো আছেই।এগুলো একটা সময় পরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।এখন তাহলে,অমরত্ব কিভাবে পসিবল-মানুষকে দূষণমুক্ত পরিবেশে নিতে হবে।একদম ফ্রেশ পিউর খাবার-দাবার দিতে হবে।রেডিয়েশান থেকে বাচাতে হবে।এগুলা তো লেইম উপায়।মেইন উপায় হলো Telomere Shortening বন্ধ করা। কোষ বিভাজনের সময়ে হওয়া ভুলগুলো বন্ধ করা। এসব ভুলের কারণে কোষগুলো আস্তে আস্তে অকেজো হতে থাকে।তাই এগুলোও বন্ধ করতে হবে।এগুলো সবগুলো করতে পারলে হয়তো মানুষ অমর হতে পারে।এগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।কিন্তু এক্সট্রিম পর্যায়ে যায়নি এখনো।যেমন:কোষে এক ধরনের প্রোটিন কোষের মরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। জম্বি সেলে সেগুলো একেবারেই কম থাকে।বর্তমানে এগুলো কৃত্তিমভাবে প্রয়োগ করে জম্বি সেলগুলো ধ্বংস করা যায়।এছাড়া,কিছু কিছু কোষের ক্ষেত্রে (যেমনঃ স্টেম সেল) Telomere Shortening ও Repair করা যায়।কিন্তু,এসব নিয়ে গবেষণা এখনো অনেক ব্যাপক না।তাই,অমরত্বের স্বাদ নিতে আরও বহুবছর পারি দিতে হবে-বলাই যায়।


ভয়


General Description-0

ভয় জিনিসটা একটা Basic Emotion বলা যায়।আদিমকালের মানুষ বিভিন্ন বন্য জন্তু জানোয়ারকে মানুষ ভয় পেতো।সেটা থেকে বাচার চেষ্টা করতো।সেটা তাই Selected হয়েছে।Because early humans that were quick to fear dangerous situations were more likely to survive and reproduce, preparedness is theorized to be a genetic effect that is the result of natural selection.বিবর্তনের ধারায় সেটা মানুষ এখন পেয়েছে।আর ছোটোবেলায় বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম ভয় দেখানো হয়।সেটা আস্তে আস্তে মানুষের Nervous শ্যস্তেম(Mostly Amygdala) এ Programmed হয়ে Survival Instinct এ পরিণত হয়।যেটা মানুষকে আত্মরক্ষার জন্য সাহায্য করে।আর কোনো বিপদ আর অন্য কোনো কিছু দেখে ভয় পেলে Adrenaline Hormone ক্ষরণ হয়।তখন Fight or Flight ডিসিশন নেয় মানুষ।

Popular Posts